কন্টেন্ট ইজ এভরিথিং অফ এ ব্লগ। একটি ব্লগ কিংবা তার ব্লগারকে আমরা তাদের কন্টেন্টস-এর পার্সেপশনে জাজ করি। কিছু কিছু ব্লগ আছে কিংবা কিছু ব্লগার আছে যারা বিভিন্ন জনরার বিভিন্ন টপিক নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন। কোনও নির্দিষ্ট ব্লগিং কাইট্রেরিয়ার মধ্যে নিজেকে তারা দমিয়ে রাখতে চান না। কিন্তু মাঝে মধ্যে এমন অবস্থা হয় যে আর কোনও টপিকই তাদের মাথায় আসেনা।
অন্যদিকে আরেক শ্রেণির ব্লগার আছে, যারা মাইক্রো নিশ ব্লগ পারফর্ম করতে পছন্দ করে। অর্থাৎ তারা যেকোনো এক ক্রায়েটেরিয়া বা ঐ রিলেটেড কিছু টপিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ্য থেকে যায়, এদের জন্য ব্যাপারটা আরও কঠিন, কারণ এমনিতেই তার কাছে অপশন কম, সেই কম অপশনে কন্সেস্টেন্টলি নতুন নতুন টপিক দেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যায় দিন দিন।
বস্তুতপক্ষ্যে আপনি মাইক্রো নিশ ব্লগার আর মাল্টি নিশ ব্লগার যেই হন না কেন, দিনশেষে নতুন টপিক আইডিয়া আপনার মাথা ব্যথার কারণ হবেই। আজকে এর একটা বিহিত করা যায় কিনা দেখা যাক!
আসলে এই যে সমস্যা, এটা আপনার একার নয়, প্রতিটি ব্লগারই কখনো না কখনো কন্টেন্টস আইডিয়ার টানাপোড়েনে ভোগেন। এই যেমন আমার কথাই ভাবুন! কন্টেন্ট রাইটিং এর কোনও টপিক খুঁজে না পেয়ে লেখতে বসে পরলাম,কিভাবে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। সে যাই হোক, দেখা যাক আজকে এর কোনও সুরাহা করতে পারি কিনা!
ব্লগিং ক্যারিয়ার স্টার্টিং এর দিনগুলো অনেকটা স্বপ্নের মতো কাটে। তখন দুনিয়ার টপিক মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। আর সেই দুনিয়ার টপিক লিখতে লিখতে একসময় দেখা যায় গোটা দুনিয়াটাই খালি হয়ে যায়। আস্তে আস্তে সব রিলেটেবল টপিক যেগুলো আমরা ভালো বুঝি শেষ হতে শুরু করে। যখন মগজে অবশিষ্টই নাই কিছু তখন কেমনে দিবেন মগজ থেকে কিছু রিডারদের? হ্যাঁ এবার আমরা পয়েন্টে আসছি। আসল সমস্যা এখানে। সমস্যাগুলার সুরাহা একে একে করছি:
যত শিখবেন তত লিখতে পারবেন
মনে রাখবেন, একজন ভালো শ্রোতা একজন ভালো বক্তাও বটে। ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এই শ্রোতা হচ্ছে রিডার আর বক্তা হচ্ছেন দ্য ব্লগার।😎
যত বেশি আর্টিকেল পড়বেন তত বেশি আর্টিকেল আপনি আপনার পাঠকদের সমাদৃত করতে পারবেন। যা বলছি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। কেমন অভিজ্ঞতা? আসুন একটু এক্সপ্লেইনেশনে!
ভার্চুয়াল লাইফের শুরু থেকেই আমার সায়েন্স ও টেকনোলজি বিষয়ক ফোরাম এবং ব্লগ গুলো খুব ভালো লাগত। সায়েন্স বলতে স্পেস রিলেটেড কিছু হলে তো কথাই নেই। তোহ! তখন আমার ঐ ঘরাণার টপিকগুলোর মধ্যেই বেশি থাকতাম, নতুন নতুন সায়েন্স ও টেকনোলজি বিষয়ক বাংলা ব্লগ ইনভেন্ট করতাম আর বিশেষ করে সায়েন্টিফিক ও ওয়েব৩ রিলেটেড ব্লগগুলোই ছিলো আমার একজন রিডার হিসেবে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
তোহ এখন যেয়ে যখন আমি ব্লগ লিখতে বসি তখন আমার ঐ ঘরানার টপিকগুলোই বেশি মাথায় আসে, যেগুলো আমি তখন পড়তাম। তাই বলছিলাম যে, রিড্যাবিলিটি ইজ ইম্পর্ট্যান্ট ফর এ ব্লগার। যত পড়বেন, তত জানবেন, আর ততই লিখতে পারবেন নতুন কোনও কন্টেন্ট।
রিসেন্ট কোনও টপিক?
অনেক ভেবে কোনও টপিক খুঁজে পাচ্ছেন না? মাত্র এই মাত্র একটি ব্লগ পড়লেন, যেটা কিনা আপনার মন ছুয়ে গেল। তখন কি করবেন? কপি? অবশ্যই না। সেই ব্লগ থেকে ব্যাসিক যে নলেজগুলো পেয়েছেন সেটা কাজে লাগিয়ে আপনি চাইলে সেই ব্লগারের চেয়েও আরও পরিশুদ্ধ একটি ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন।
নিজের ক্যাপাবিলিটির কথা ভাবুনঃ
ইন্টারনেট ঘুরে অনেক হার্ড কিছু টপিক পেলেন, নতুন করে লেখার মতো কিছু স্যাম্পল হিসেবে। কিন্তু লিখতে যেয়েই অন্তঃসারশূন্য হয়ে গেলেন। কিছুই মাথায় আসছে না। কিংবা অনেক কিছুই মাথায় আসছে, কিন্তু এমন একটি হার্ড টপিক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছেন, যে তা ঠিকঠাকভাবে এক্সপ্লেইনই করতে পারছেন না। এরকম হার্ড টপিক পড়তে নিয়ে কিন্তু রিডারেরও দাঁত ভাঙার যোগার হবে, যদি আপনি তাকে সহজসাধ্য ভাষায় এক্সপ্লেইন করতে না পারেন।
আগে বুঝুন তারপর লিখুন।
একজন স্টুডেন্ট, স্টুডেন্ট থেকে ধরেই টিচার হতে পারেনা। একজন ধন্যাড্য ব্যাক্তি হতে গেলে বিপুল অর্থ উপার্জনের যেমন একটি ব্যাপার আছে, তেমনি একজন শিক্ষক হতে চাইলে, বিপুল পরিমাণে শিক্ষা অর্জনেরও একটা ব্যাপার আছে। তবেই না সে আরেকজনকে শেখানোর যোগ্যতা সে অর্জন করতে পারে। একই বিষয় ব্লগিং এর ক্ষেত্রেও। কোনও টপিক এ আপনার আন্ডার্স্টেন্ডিং এর ঘাটতি ঘাটতি থাকলে, সে বিষয়ে কন্টেন্ট লিখে কোনওভাবেই পাঠকদের আকৃষ্ট করতে যাবেন না।
যেই আইডিয়াটি নিয়ে লিখছেন সেটি নিয়ে আরেকটু জেনে নিন।
হয়ত আপনার সিলেক্টেড কন্টেন্টটি আপনি অনেক ভালো বুঝেন, তবুও আপনার আরও ডিটেইলি জানার দরকার আছে। যত বেশি নিজের মধ্যে নিবন্ধিত করবেন, ততই বেশি আপনি পরেবেশণ করতে পারবেন।
সর্বোপরি আমার এই ব্লগটি যদি আপনার কন্টেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার একটুও পজিটিক ইফেক্ট ফেলতে পারব, আমার এইচএসসির পড়া সাইডে রেখে এই ব্লগ লেখা তবেই সার্থক হবে।🫠
Rabbi Zidni Elma
উত্তরমুছুন