২১এর মাঝামাঝি দিকে রিলিজ হয় ফোনটি। বহুল প্রতিক্ষিত এই স্যামসাং ফোনটি ২০২২এর সেপ্টেম্বরে এসে লঞ্চ হলো বাংলাদেশে! মিডরেঞ্জ এর বাজারে এটি আশা জাগানিয়া পার্ফর্ম্যান্স করবে বলে আমি মনে করি। কেমন হবে ফোনটি? জেনে নিব এর এস্পেসিফিক্যাশন্স সম্বন্ধ্যে। পোস্ট শেষে আমার ব্যাক্তিগত মতামত তো থাকছেই। আসুন পরিচিত হয়ে নেই।
ইন্ট্রোডিউসিং ইউ উইথ নিউ স্যামসাং গালাক্সি এফ২২
- মডেলঃ Samsung Galaxy F22
- বাজারমূল্যঃ ৪/৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টঃ ৳১৪৭৩৭ বাংলাদেশি টাকা
৬/১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টঃ ৳১৬,৮৫০ বাংলাদেশি টাকা। - কালার ভ্যারিয়েন্টঃ ডেনিম ব্ল্যাক, ডেনিম ব্লু
- ফোনটি রিলিজ হয়ঃ জুলাই, ২০২১
এবার আসি মৌলিক স্পেক্সগুলোতে যা না জানলেই নয়ঃ
- অপারেটিং সিস্টেমঃ এন্ড্রয়েড। ফোনটি এন্ড্রয়েড ১১-এ রান করছে, যা কিনা আপনি আপগ্রেড করে এন্ড্রয়েড ১২ তে নিয়ে যেতে পারবেন।
- নেটওয়ার্ক ব্যান্ডসঃ ২জি/৩জি/৪জি। থাকছে ডাবল সিম স্লট
- চিপসেটঃ মিডিয়াটেক হেলিও এ২২ (১২ ন্যানোমিটার)
- সিপিইউঃ ওক্টা-কোর (২x2 গিগাহার্টজ কোর্টেক্স-এ৭৫ & ৬x১.৮ গিগাহার্টজ কোর্টেক্স-এ৫৫)
- জিপিইউঃমালি জি৫০ এমসি২
ডিসপ্লে এবং বডিঃ
- ডিসপ্লে টাইপঃ সুপার এমলেড। থাকছে ৯০ হার্টজ এর রিফ্রেশ রেট।
- ডিসপ্লে সাইজ ৬.৪ইঞ্চি
- ডিস্প্লে রেজুলেশনঃ ৭২০ x ১৬০০
- ডিস্প্লে রেশিওঃ ২০ঃ৯
- পিপিআই ডেন্সিটিঃ ~২৭৪
ব্যাটারীঃ
- টাইপঃ লিও-পলিমার ৬০০০ এম্পিআর, নন-রিমুভেবল
- চার্জিং সুবিধাঃ টাইপ-সি তে চার্জ হবে ব্যাটারী। যার জন্য রয়েছে ইউএসবি টাইপ-সি ২.০ পোর্ট।
- ফাস্ট চার্জিংঃ এভেইলেবল! পাচ্ছেন ১৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা।
ক্যামেরাঃ
- ফ্রন্ট ক্যামঃ [১৩ মেগাপিক্সেল, এপার্চার এফ/২.২ (ওয়াইড লেন্স), সেন্সর সাইজঃ ১/৩.১", পিক্সেল সাইজঃ ১.১২µm]
- ব্যাক ক্যামঃ কোয়াড ক্যামেরা যেখানে থাকছে ৪টি ক্যামেরার সমন্বয়।
[৪৮ মেগাপিক্সেল, এপার্চার এফ/১.৮, (ওয়াইড লেন্স) with ফেজ ডিটেকশন অটোফোকাস]
[৮ মেগাপিক্সেল, এপার্চার এফ/২.২, ১২৩°, সেন্সর সাইজঃ ১/৪.০", পিক্সেল সাইজঃ ১.১২µm]
[২ মেগাপিক্সেল, এপার্চার এফ/২.৪, (ম্যাক্রো লেন্স)]
[২ মেগাপিক্সেল, এপার্চার এফ/২.৪, (ডেপথ লেন্স)] - ব্যাককেমেরার সাথে এলইডি ফ্ল্যাশ থাকছে এবং থাকছে এইচডিআর ও প্যানারোমা মোড।
এছাড়া থাকছেঃ
- আস এক্সপেক্টেডঃ ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
- হেডফোন এক্সপেরিয়েন্স নেয়ার জন্য ৩.৫এমএম জ্যাক
- জিপিএস তো থাকছেই
- ব্লুটুথ ৫.০, এটুডিপি, এলই
- ওয়াই-ফাই ৮০২.১১ এ/বি/জি/এন/এসি, ডুয়াল-ব্যান্ড, ওয়াই-ফাই ডিরেক্ট, হটস্পট। এফএম রেডিও
- থাকছে না নিয়ার ফিল্ড কমিউনেকেশন(NFC)।
ফোনটির যে দিকগুলো ভালো লেগেছেঃ
- ৬০০০ এম্পিআরের ব্যাটারি পাচ্ছেন ; যা দিয়ে কিনা হেসে খেলে আপনার ২দিন চলে যাবে। নর্মাল ইউজে দিবে ৩দিনের ব্যাকাপ নিশ্চয়তা
- ফোনটিতে মিডিয়াটেক হেলিও জি৮০ চিপসেট ব্যবহৃত হয়েছে - এটি একটি ৮-কোর চিপসেট; যেকোনো গেমারের জন্য একটি আদর্শ চিপসেট
- ক্যামেরা কোয়ালিটি খারাপ না, বলতে গেলে ভালোই😐
- লুকটাও প্রিমিয়াম লেগেছে আমার কাছে
ফোনটির যে দিকগুলো ভালো ঠেকেনি আমার কাছেঃ
- এমন মিডরেঞ্জ নিয়েও প্লাস্টিকের ফোন চালাতে হবে? বরাবরই এই রেঞ্জের অন্যান্য সেটের মতোই ফোনটিতে প্লাস্টিকের ফ্রেম এবং ব্যাকপার্ট ও প্লাস্টিকের ব্যবহৃত হয়েছে; ডিসএপয়েন্ট না হয়ে উপায় নেই!
- ৬০০০ এম্পিয়ার ব্যাটারীর জন্য ১৫ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং? আমিতো অফাক থুক্কু হতাশ হয়েছি। বেশ বেগ পেতে হবে কিন্তু ফোনটি চার্জ দিতে গেলে।
- এই বাজেটে অনেকেই ৫জি ফোন এক্সপেরিয়েন্স চাইবেন, কিন্তু প্রাইস রেঞ্জ বিবেচনায় এবং অন্যান্য এক্সপেক্স বিবেচনায় নিলে ৫জির না থাকাটাকে কন্সিডার করাই যায়।
- ফোনটির সাইজ তো ঠিকই আছে! তবে যারা বেশ বড় সেট চালাতে পছন্দ করেন, তাদের কাছে একটু বেমানান লাগতে পারে।
একটি কথা না বললেই নয়। সেটি হচ্ছে,আপনি যত দামি সেটই কিনেন না কেন, কোনও না কোনও কমতি কিন্তু ঠিকই থেকে যায়। সেইস্থলে এই ফোনটি প্রাইসরেঞ্জ বিবেচনায় এগিয়ে থাকবে। ফোনটির স্পেক্স আমার কাছে ভালো লেগেছে, তাি রিভিউ দিয়ে দিলাম। আপনার বাজেট যদি ১৪-১৫ কিংবা এর আশেপাশে হয় তবে মাথায় রাখতে পারেন স্যামসাং এফ২২ এর কথা।
পরিশেষে স্পেক্সগুলি কেমন লেগেছে অনশ্যই জানাবেন? ফোনটি নিয়ে আর বেশি টানাটানি না করে এখানেই সমাপ্তি টানলাম। with good wishes.
আল্লাহ হাফেয।