ব্যাকলিংক কি? ব্যাকলিংক দিয়ে কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করবেন?

0

আপনি যদি SEO নিয়ে প্রপার স্টাডি করে থাকেন, তবে 'ব্যাকলিংক' বিষয়টি আপনার কাছে নতুন কিছু নয়। ইন্টারনেটে হরহামেশাই আমরা এই শব্দটি শুনে থাকি কিন্তু কখনো হয়ত ঘেঁটেই দেখিনি আসলে Term টা কি? আজ জেনে নিব ব্যাকলিংক এর সাথে রিলেটেড অনেক কিছু। So now? Let's go with Xein's flow!

ব্যাকলিংক কি? What is Backlink?

অফ পেজ এসইও এর কথা উঠলে সবার আগে যার কথা মাথায় আসে তিনি হচ্ছেন ব্যাকলিংক।
ব্যাকলিংক টার্ম টা দুইটি ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত। এই মর্মে একটি ওয়েবসাইটের লিংক আরেকটি ওয়েবসাইটে জুড়ে দেয়া হয়। সেই লিংক এ ক্লিক করে একটি ওয়েবসাইটএর ভিজিটর আরেকটি ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারে, যা প্রাক্টিক্যালি যে সাইটটি লিংক করা হয় সেটির SEO তে ইমপ্যাক্ট ফেলে। আসুন জেনে নেই,


কিভাবে ব্যাকলিংক SEO তে Impact ফেলে?

মদ্দকথা হলো, SEO তে ইমপ্যাক্ট ফেলার জন্য অবশ্যই ভালো কোয়ালিফায়েড ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটরস আসতে হবে।
কারণ! আপনি যদি কোনও স্ক্যাম সাইটে ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করেন তবে গুগল আপনার সাইটটিকেও স্ক্যাম হিসেবে আইডেন্টিফাই করবে, যা আপনার ওয়েবসাইটের এসইও-এর জন্য মোটেই শুভংকর নয়। এখন আসি মূল বিষয়বস্তুতে! 

ব্যাকলিংক কিভাবে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে? 

প্রথমত ব্যাকলিংক কার্যকর হওয়ার কারণে আপনি এমনিতেই কিছু ভিজিটরস পাচ্ছেন। ফলে কি? ফলে আপনার সাইটটি জনসম্মুখে চলে আসলো, পপুলারিটি বৃদ্ধি পেল! আপনার সাইটের ভিজিটর রেইজ হওয়ার সাথে সাথে খবরটি গুগল মামার কাছে চলে যায়। আসলে যখন ব্যাকলিংক ক্রিয়েট হয়, গুগল তার অ্যালগরিদম এর মাধ্যমে সেটা জেনে নেয়। 

ফলে হয় কি? কোনও ট্রাস্টেড সাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসলে গুগলের কাছে তা আরও ট্রাস্টেড ফিল হয়, আপনার ওয়েবসাইটটিকে সে আরও হাইলি রিকমেন্ড করে, গুগল আপনার ওয়েবপেজগুলো তার সার্চ ইঞ্জিনে ইন্ডেক্স করে দেয় অপেক্ষাকৃত উপরের সারিতে। ফলে আপনার সাইটের ট্রাফিক বেড়ে যায় রাতারাতি। এভাবেই ব্যাকলিংক আপনার এসইও তে ইম্পেক্ট ফেলে। এখন আসি কীভাবে আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করবেন সেই আলোচনায়?


কীভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন?

আপনারা গেস্টরাইটিং বা গেস্টব্লগিং সম্বন্ধ্যে শুনে থাকবেন! একটা হচ্ছে আমরা নিজের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পোস্ট করি, সেটাকে ইংরেজিতে কী বলা যাবে Own Writting? মানে নিজের লেখা। আর গেস্টরাইটিং টা হবে তখন, যখন অন্য কারও ব্লগে আপনার ইউনিক আর্টিকেলটি পোস্ট করে দিলেন। তবে কেউ তো ফ্রিতে কারও জন্য কাজ করতে চায় না তাইনা? আপনাকে হয়ত এই আর্টিকেলটির জন্য এডমিন কিছু পে নাও করতে পারে। কিন্তু আপনি ঠিকই আপনার স্বার্থ টা লুফে নিবেন আপনার গেস্ট আর্টিকেল্টিতে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক জুড়ে দিয়ে আপনার সাইটটি প্রমোট করার মাধ্যমে। এভাবেই আপনার সাইটের ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করে ফেললেন।

কিন্তু গেস্টব্লগিং এর ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে:

গেস্টব্লগিং সবসময় ইউনিক কন্টেন্ট দিয়ে করার চেষ্টা করবেন। এমন কিছু পোস্ট করবেন না যেটা আপনার নিজেরই ব্লগে রয়েছে। অর্থাৎ নিজের ব্লগের কোনও একটা পোস্ট কপি করে গেস্টব্লগ মেরে দিলেন, এমনটা করা যাবেনা। 

এজন্য বলছিনা যে, এতে যে সাইটে আপনি পোস্ট করলেন সেটা কপিরাইটের বিবেচনাধীন হতে পারে। বরং; এটি আপনার নিজের ওয়েবসাইটের এসইও তেই ডিফেক্ট করবে। কেম্নে? আসলে গুগল যখন সেইম কন্টেন্ট একাধিক সোর্স-এ লোকেট করে, তখন সে সার্চ ইঞ্জিন হতে অপেক্ষাকৃত কম পপুলার ওয়েবসাইটটির রেজাল্ট অপসারণ করে দেয়। যেহেতু আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি পপুলার ওয়েবসাইটে পোস্টটি করেছেন, পরিশেষে দেখা যাবে গুগল সার্চে আপনার সাইট থেকে আপনারই কপি করা গেস্টব্লগটি গুগলে সার্চে হাই রাংকিং এ ইন্ডেক্সড হইছে, আর আপনার নিজের সাইটের অরিজিনাল কন্টেন্টই গুগল থেকে হাওয়া😅

তাই সাবধান এরকম যেন না করে বসেন। যদিও আমি নিজেই এরুপ করেছি ২-৩বার, কিন্তু সাইটে ভিজিটর বাড়তে থাকলে এরকম ভুল দ্বিতীয়বার করার ইচ্ছে নেই। যাই হোক, গেস্টরাইটিং নিয়ে লিখতে লিখতে মেইন টপিক থেকে সরে যাচ্ছি। চলুন যাই আবার ব্যাকলিংক-এ

ব্যাকলিংক সম্বন্ধ্যে যেসব ফ্যাক্টস না জানলেই নয়

অধিক ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করলেই যে অধিক ভালো ফলাফল হবে এমনটি নয়!

সাইট র‍্যাংক করতে প্রতিদিন মিনিমাম কয়টি ব্যাকলিংক প্রয়োজন।?প্রতিদিন ২০-৫০টি ব্যাকলিংক আপনার সাইট র‍্যাংক করতে এনাফ। সংখ্যাটি আরও কম হলেও অসুবিধা নেই, যদি আপনি কিছু ভালো সোর্স থেকে ব্যাকলিংক নিতে পারেন। মনে রাখবেন, একটি ভালোমানের ওয়েবসাইট থেকে ১টি ব্যাকলিংক যতটা ইম্পেক্ট ফেলে, সেইস্থলে কোনও ভুগিজুগি সাইটের ৩/৪টা ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করলেও ব্যাপারটা ততটা ফলপ্রসূ হয়না।

কন্টেন্ট ইজ দ্য মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট!

আপনার কন্টেন্ট যদি মানসম্মত না হয় তাহলে এত অঢেল ব্যাকলিংকস আপনার কোনও কাজে দিবে না। ভিজিটর আসবে আর ফিরে যাবে, ধরে রাখতে পারবেন না। কেননা কন্টেন্ট যেমনই হউক, আর্টিকেলটি হতে হবে কপিমুক্ত। ভিজিটরদের যতই আপনি কপি পোস্ট দিয়ে মুরগী বানান, গুগলের কাছে গেলে আপনি নিজেই মুরগী হয়ে যাবেন। পোস্ট কপিএডিট হলে গুগল ঠিকই তার এলগরিদম এর মাধ্যমে ধরে ফেলবে। যা আপনার সার্চ ইঞ্জিন স্কোর ডাউন করে দিবে। 

সো গুগলের চোখে ভালো থাকতে হলেও আপনাকে নিজ উদ্যোগে কিছু লিখতে হবে। চাইলে অন্যান্য সাইট থেকে কিছু রেফারেন্স দিলেন, বা ২-১টা ইনফরমেশন হাল্কাভাবে কপি করে দিলেন তবে সেটা অবশ্যই নিজের মত করে সাজিয়ে তুলবেন। মনে রাখবেন, Content is the X-factor of your blog. ওয়েবসাইট আপনার যেমন খুশি তেমন হতে পারে, কিন্তু কন্টেন্ট হতে হবে মনের মত।

সর্বোপরি, আজকে এখানেই সমাপ্তি টানলাম। মনে হয়না আর বেশি কিছু লেখার প্রয়োজন রয়েছে! আশা করি, ব্যাকলিংক এর খুঁটিনাটি সম্বন্ধ্যে আপনাদের অবগত করতে আমি সফলকাম হয়েছি। সুযোগ পেলে আরেকটি পার্ট নিয়ে হাজির হইব নয়ত থাকবে নতুন কোনও কন্টেন্ট, নতুন মোড়কে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)