ব্যবসায় কিভাবে অধিক মুনাফা অর্জন করবেন?

0

আসসালামু আলাইকুম,

ব্যবসা নিয়ে যখন টপিক তখন অধিক মুনাফাই লক্ষ্য। লাভ আর লস এর পার্থক্যই গড়ে দেয় ব্যবসার সমীকরণ। আমি কোনো ব্যবসায়ী নই। তবে ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র! তাই নির্দ্বিধায় এমন টপিক নিয়ে লিখতে সাহস সঞ্চয় করে ফেললাম। now? let's go with Xein's flow!


ব্যবসায় সাফল্য পাওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় কি জানেন?

ব্যবসা হতে হবে হালাল এবং নিশ্চিত করতে হবে ব্যবসার সব লেনদেন হালাল মাধ্যম থেকে হচ্ছে কিনা। অনেকেই আমার সাথে মতানৈক্য করতে পারেন। দাবি করতে পারেন, ‘‘যারা হারাম পণ্য নিয়ে ব্যবসা করছে; বরং তারাই আজ বেশি সফল।’’ আমিও আপনাদের সাথে একমত। কিন্তু বৈসাদৃশ্য একটি জায়গাতেই খুঁজে পাই; কী জানেন? ইটস ইজি টু গেস! হারাম পণ্য বা হারাম উপায়ে ব্যবসা করে আপনাকে কেউ সফলতার নিশ্চয়তা দিতে পারবেনা। কিন্তু যখন আপনি হালালভাবে উপার্জন করছেন ব্যবসা থেকে, তখন আপনাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।


নকল বা সস্তা পণ্য বর্জন করুন

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, দেশের মেজরিটি অব্দি পৌঁছানোর লক্ষ্যে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী কমদামি কিংবা নকল পণ্যের ব্যবসায় মেতে উঠেছেন। কাস্টমার কমরেটে প্রোডাক্ট পেয়ে সন্তুষ্ট হলেও! পরবর্তীতে গিয়ে যখন পণ্যের গুনগত নিম্নমানের সম্মুখীন হন, বড্ড অসন্তোষই হন বটে।😒 যত পারবেন, আনরিয়েল প্রোডাক্টস লেনদেন হতে দূরে থাকবেন। কেননা; নকল পণ্য বেঁচে আপনি শুধু ব্যবসাই করতে পারবেন কিন্তু একটি কাস্টমার আবার আপনার কাছ থেকে পণ্য কিনবে সেটা আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন না।


গলা কেটে দাম রাখবেন না

প্রোডাক্ট ভালো হলেও, মেজরিটি কাস্টমারস অব্দি পৌঁছানোর লক্ষ্যে যদি একটু সাশ্রয়ী মূল্যে ছেড়ে দেন, তবে ব্যাবসায়ের সেরাটাই আপনি রেজাল্ট হিসেবে এক্সপেক্ট করতে পারেন।
ভেবে নিলেন!বেশি মূল্যে বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করবেন। কিন্তু ভুলেই গেলেন যে, আপনার প্রোডাক্ট অব্দি পৌঁছাতে গিয়ে কিছু সীমিত বাজেটের কাস্টমার হিমশিম খেয়ে যাবে। তথাপি একটু কম বাজেটে নিম্ন গুনমানগত প্রোডাক্ট কিনে তারা প্রতারিত হবে। আপনারও কিন্তু ছুটে যাবে কাস্টমারটি হাত থেকে!

তাই অবশ্যই গলাকেটে দাম রাখে যাবেনা! কিছু বোনাস কাস্টমার গেইন করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, আপনার প্রোডাক্ট থেকে সেই কাস্টমারটির বাজেটের দূরত্ব খুব বেশি কিন্তু নাও হতে পারে। ভেবে দেখেন তো ! অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করতে গিয়ে সেই সীমিত বাজেটের কাস্টমারটি আপনি খুঁয়ে ফেলছেন কিনা? ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে একটাই মুল লক্ষ্য ধরে নিতে হবে! পণ্য কত অধিক হারে সেল করতে পারছি, সেটাই হতে হবে মূল লক্ষ্য। গলাকেটে কত টাকা মুনাফা হাসিল করতে পারছি সেটা নয়! সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে প্রজেক্ট হতে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন সম্ভবপর নাও হতে পারে। তখন আশার আলো দেখতে পাবেন, যখন আপনার পণ্য অধিক পরিমাণে লেনদেন হবে। কারণ পণ্যের গায়ের রেট হাতের নাগালে পেলে পণ্যগুলো অধিক মানুষ লেনদেন করতে পারবে; মুনাফার খরাও তখন আপনার পূর্ণ হবে। শুধু কি তাই? বেশি কাস্টমারও কিন্তু আপনি অন্যদের কম্পেরিজনে আয় করতে পারবেন। সো, টেক ইউর টাইম, তারপর ডিসাইড করেন, অধিক মুনাফা চাই নাকি অধিক কাস্টমার পপুলারিটি!😏


পরিকল্পনা প্রণয়ণ

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে হরণ তরণ করা যাবেনা। মুলধন যোগালাম, কাঁচামাল কিনলাম আর ধিপধাপ প্রোডাক্টস বাজারজাত করে বেঁচে মালপতি হয়ে গেলাম। ব্যপারটা কিন্তু এতটা কাগজের মত স্বচ্ছ নয়! ব্যবসা পূর্ববর্তী স্ট্রেটেজি না থাকলে বরং আরও ঘোলাটে হয়ে যায় ব্যবসায়িক এই ব্যাপারটা। ফলে ব্যবসার ‘ব’ বুঝে উঠার আগেই ব্যবসার বারোটা বাজানো সম্পন্ন হয়ে যায় বেশ। তাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পণা নিয়ে একেবারে কোমড় বেঁধেই মাঠে নামতে হবে।


পরাজয় বরণ করা যাবে না!

কোনো এক ব্যবসায়িক মস্তিষ্ক বলেছিল, ব্যবসায় লস না খেলে সে ব্যবসা কখনো হালাল হয়না। কারণ ব্যবসায় লস না করলে, আপনি ব্যবসা করাই শিখতে পারবেন না। ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিবেন! ব্যবসায়িক মস্তিষ্ককে আরও পাকাপোক্ত করতে পারবেন। ব্যবসায় লস হবেই, সেই লস পুষিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মনোভাব থাকতে হবে। কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়ে হেরে বসলে চলবে না। কারণ, হেরে গেলে তো হারিয়ে গেলেন।🙂

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)