কন্টেন্ট রাইটিং প্রো টিপস!

0

একজন ব্লগারের কাছে ফার্স্ট প্রায়রিটিতে সবসময় থাকবে কন্টেন্ট, কন্টেন্ট এবং কন্টেন্টই। কারণ একটি ভালো কন্টেন্টই পারে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারকে নতুন একটি অঙ্গন দিতে।

অনেক লেখালেখি করে যখন হাপিয়ে যাচ্ছেন? তখন মাত্র একটি কোয়ালিফায়েড কন্টেন্টই গুগল এ র‍্যাংক করে আপনার ব্লগের গ্রোথে সহায়ক হতে পারে। সেই একটি মাত্র কোয়ালিফায়েড ব্লগ খুঁজে বের করতে করতে পুরো জীবন না অতিবাহিত করে ফেলেন সেই তাগিদ থেকে এই লেখা😇

জেনে নিব যত ফর্মূলা যা দেয়? ভালো কন্টেন্ট এর নিশ্চয়তাঃ

সাবজেক্ট/টাইটেলের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে লিখতে হবে।

লিখতে লিখতে অন্য টপিকে চলে গেলে আপনার ব্লগটি ইনকমপ্লিটই থেকে যাবে। কি লিখবেন? যে বিষয়েই ব্লগ করছেন, ব্লগটির টাইটেল এর প্রতি যেন সুবিচার করতে পারেন এমন কিছু? টাইটেল বা সাবটাইটেল গুলোর সাথে অবশ্যই প্যারাগ্রাফগুলো রিলেট করতে হবে। যেন কেউ গুগলিং মানে সার্চ করে যখন আপনার ওয়েবসাইটের কোনো আর্টিকেল দেখতে পাবে, মেটা ডিসক্রিপশনে সে যেন রিলেটেবল কিছু পায়। তাই পুরোদমে কম্পিটিশনে নামতে হবে। কিন্তু

মনগড়া থিওরি নিয়ে যাইখুশি কন্টেন্ট লিখতে যাবেন না

ব্লগ আর সাহিত্যি/উপন্যাস কি এক জিনিষ? আই থিক, নো। কাজেই আপনার কথার একটা ওজন পেতে হবে রিডারদের। আজগুবি মনগড়া লিখে গেলেন, যা কিনা যে পড়বে আাপনাকে, তার কোনও কাজেই আসল না।তারপর দেখবেন কি? 

হি হ্যাস লেফট দ্য চাট, তার কনভার্সেশন ও ডিলেট মানে আপনার একটি ভিজিটর আর আইবই না এই সাইটে🫠

সো, বি কেয়ারফুলো। আপনার কন্টেন্ট এ এমন কিছু পুশ করতে যাবেন না যেটার কোনও কন্সেপ্ট নেই, আপনার মনগড়া কন্সেপ্ট আপনার বন্ধুরা শুনে হেসে খুন হয়ে গেলেও একজন রিডারকে আপনি খুশি করতে পারবেন শুধুমাত্র সে যেটা চায় সেটি দিয়ে। সেটি যদি আপনার কাছে থাকে, তো ভালো। নাহলে একটু রিসার্চ করে থিওরিগুলো জেনে নিন। তারপর চাইলে আপনি সেটাকে নিজের মনগড়া ভাষায় উপস্থাপন করতে পারবেন, মনগড়া থিওরি দিয়ে নয়। 

কন্টেন্ট এর কন্সেপ্ট কেমন হওয়া চাই?

যখন লিখতে নিবেন আগে থেকেই কিছু জিনিষ মাথায় রেখে নিবেন। সেটা হচ্ছে কেমন? এই যেমন একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন সেখানে নিশ্চয়ই আপনার কিছু পয়েন্ট রাখবেন তাইনা? ডিসেপয়েন্টিং কিছু পয়েন্ট করে বসলে হয়ে গেলেন তো সাহিত্যিক? ভার্সেটাইলিটি রেখে, পয়েন্ট বাই পয়েন্টগুলো সাজাতে হবে। একটি পয়েন্ট নিয়ে যাবে আরেকটি পয়েন্টের কাছে।

মনে রাখবেন, অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখতে গেলেই কিন্তু কন্সেপ্ট থেকে পড়ে যাবেন কর্ণারে, মানে চিপায়। তাই চিপায় পড়বেন না, কনসেপ্ট ক্লিয়ার রাখবেন। এজন্য আপনার পয়েন্টগুলো আগে থেকেই মাইন্ডে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট সাজিয়ে নিবেন। 

লিখছেন কে, আপনি? টপিকটির লিমিটও কিন্তু আপনিই নির্ধারণ করবেন, তাই কোথায় লিমিট ক্রস হচ্ছে সেটা খেয়াল রাখার দায়িত্ত্বও আপনারই। নির্ধারণ আপনাকেই করতে হবে, টপিকটিকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাবেন! 

লেখনি মানেই কথাগুলোকে ফুটিয়ে তোলা। তাই কথাগুলোকে কথা থেকে কথায়ই নিয়ে যাবেন, কিন্তু আবার এমন কোনও কথায় নিয়ে যাবেন না, যাতে আপনার না আবার জনৈক পাঠকের কাছ থেকে অকথ্য ভাযা শুনতে হয়।

শুরু থেকেই গভীরে নিয়ে যান>

বর্তমান পাঠক সম্প্রদায় অনেক ফাজিল, মানে অনেক অধৈর্য্য। এরা একটু পড়তে নিলেই হাপিয়ে যায়। তাই একটুতেই অনেকটু দিয়ে দিন শুরুতেই, যাতে তার কাছে আরেকটু পড়ার জন্য ইন্টারেস্টিং লাগে আর্টিকেলটি। 

শুরুতেই যদি আবোল-তাবল হযবরল মিশিয়ে লিখতে নেন, তবে রিডারস আপনাকে ফ্লপ ক্রিয়েটর ক্যাটেগরীতে ফেলে দিবে। ফলে আপনার টপিকের পরবর্তী অংশে যে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাগুলো তুলে ধরেছিলেন সেগুলো তারা মিস করে ফেলবে। পুরো পোস্টটি আর রিডারদের খাওয়াতে পারবেন না যদি শুরুতেই পোস্টটিতে....?। সো বি অনেস্ট, লেখার শুরু থেকেই।

শুধুমাত্র শুরুর ক্ষেত্রেই না, প্রতিটা ইঞ্চি বাই ইঞ্চি, একটি পয়েন্টেও চোরামানি করা যাবেনা। দেখা যাবে, আপনি লেখায় চুরি করলেন, আর আপনার পাঠককে ধরে অন্য ক্রিয়েট্রর চুরি করে নিয়ে গেল।

মেটা ডিস্ক্রিপশন'স কন্সপিরেসি!

মেটা ডিস্ক্রিপশন ইজ ইমপর্ট্যান্ট। সেটা এমন হতে হবে যেটি পড়ে গুগল সন্ধানকারীরা আপনার পোস্ট এর প্রতি পিপাসা অনুভব করেন, মেটায় তাদের লোভনীয় কিছু ধরিয়ে দিন। তবে অবশ্যই টাইটেলএর সাথে সম্পৃক্ত কিছু।

মনে রাখবেন আপনার মতো সেম বা তার কাছাকাছি টাইটেল গুগলে সন্ধ্যানকারীরা অনেক খুঁজে পাবে। আপনার মেটা ডিস্ক্রিপশনই আপনার ব্লগের লিংকগুলিকে বাকি সার্চ রেজাল্টস থেকে আলাদা করবে, সো আকর্ষণীয় কিছু পোস্ট তো লিখবেনই। মেটা ডিস্ক্রিপশন হতে হবে তার চেয়েও বেশি আকর্ষণীয়।

থাম্বনেইলটি হতে হবে আকর্ষণীয়, একইসাথে কাস্টমাইজড।

আকর্ষণীয় টাইটেল ও মেটা ডিস্ক্রিপশন লেখার যেমন ব্যাপার আছে তেমনি আকর্ষণীয় একটি থাম্বনেইল জেনারেটিং এর একটি ব্যাপার আছে। একজন ভিজিটর যখন আপনার ব্লগটি ব্রাউজ করে, অনেক সময় কোনও একটি ব্লগের টাইটেল আপনার ভিজিটরকে আকর্ষণ করতে না পারলেও তখন দেখবেন থাম্বনেইলটি ঠিকই এট্রাক্ট করতে পারবে, যদি সেই থাম্বনেইলটি রিলেটেবল হয়।

ব্লগের বিষয়বস্তু বুঝাতে যেমন প্রোপার টাইটেলের প্রয়োজন আছে, তেমনি থাম্বনেইলেও এমন কিছু লেখনি যুক্ত থাকা আবশ্যিক, যা আপনার পোস্টটির বিষয়বস্তুকে ইঙ্গিত করবে।

যেই পিকটি সিলেক্ট করবেন ফটো ইডিটর অ্যাপ দিয়ে সেই পিকটিতে টপিককে রিলেট করে এমন কিছু একটা লিখে নিবেন, প্রয়োজন মতো কাস্টমাইজ করে তারপরই থাম্বনেইলটি আপলোড দিবেন। 

গুগল ইমেজেস এ খুঁজে পেয়ে একটি ছবি ভালো লেগে গেল আর হুট করেই বিনা কোনও কাস্টমাইজেশনে সেটি থাম্বনেইলে সেট করে দিলেন, কাজের কাজ তো হবেই না। বরং এটা আপনার সাইটের এসইও তেও ডিফেক্ট করবে।

শেষে থাকছে কিছু কোর টিপস

রিভাইস এন্ড রিরাইট

Write, Let's see what you wrote?, যেখানে অযৌক্তিক লাগবে বুঝে শুনে now you rewarite. Keep it on repeat untill you get satisfied to read that article.
পোস্ট বারবার পড়বেন বারবার, যতক্ষন অব্দি নিজের কাছে পড়ে ভালো লাগবেনা, সম্পাদনা করতে থাকবেন। একটু কষ্ট বেশি হলেও! আজাইরা টপিক নিয়ে কথা বললেও শুধু আপনার গুছিয়ে পরেবশনাই দিবে পাব্লিক ডিমান্ডের ফুলফিলতা🫠

কন্টেন্ট ফরম্যাটিংঃ সাজিয়ে তুলেন কন্টেন্টটিকে।

এইচটিএমএল ট্যাগগুলো প্রপারলি ইউজ করবেন যেখানে যেটা দরকার। একদম সাদামাটা ব্লগ, যার কোনও আগামাথা নেই সেটা রিডার পড়তে পছন্দ করবে না। সাদামাটা ব্লগ যেমন পরিহার করবেন তেমনি আবার মাত্রাতিরিক্ত গর্জিয়াস ব্লগ লিখতে নিবেন না। অনেকেই আছেন ব্লগে কালারের অপপ্রয়োগ করে। সেগুলোকে ব্লগ কম বাচ্চারা খাতায় আকিবুকি করলে যেমন, ঐ ব্লগগুলোকেও তেমন দেখায়।

আপনি অনেক কালার কোড জানেন, অনেক এইচটিএমএল এর প্রয়োগ জানেন এটা দেখাতে যেয়ে কন্টেন্ট এর ১২টা বাজাই দিলে রেজাল্ট শূন্য। বিলিভ মি, গুগল সার্চে যে আর্টিকেলগুলো র‍্যাংক করছে, সেগুলো পরখ করলেই বুঝতে পারবেন, আপনি কি ভুলের মধ্যে জিইয়ে আছেন। হোপ ইউ গেট ইট। সিম্পল এর ভিতর গর্জিয়াসলি থাকার চেষ্টা করতে হবে। 

পোস্ট এর প্রয়োজলে এইচটিএমএল ট্যাগ ইউজ করছেন, এখানে আধিপত্য কিন্তু পোস্টেরই। আপনার পোস্টে লেখনি থেকে এইচটিএমএল ট্যাগ, কালার কোড যদি বেশি আধিপত্য বিস্তার করে তাহলে পোস্ট এর চেহারা দেখেই মানুষের পেট ভরে যাবে, পোস্টটি আর কারও খেতে মন চাইবে না।

সূত্রাং যত সুন্দর করে রান্না করবেন (লিখবেন) তেমনি সুন্দর হতে হবে পরিবেশন (এইচটিএমএল ফরম্যাটিং)। তবেই না মানুষ সেটি খেয়ে তৃপ্তি পাবে, যেটা কিমা দেখতে হবে সুন্দর আর খেতে ভারি মিষ্টি। আই হোপ ইউ গেট ইট।

so now, পোস্টটি এখানেই ইতি টানতে হচ্ছে। সময় সুযোগ না থাকা সত্বেও সম্ভাব্য কিছু টিপস শেয়ার করে দিলাম যা আপনার কন্টেন্ট রাইটিং এ প্রয়োগ করতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন। এই ব্লগে বিভিন্ন নিশের পোস্ট শেয়ার করা হয়। বিশেষ করে আপনি কোনটা নিতে পছন্দ করবেন জানাবেন। এখন তাহলে বিদায় নিতে হচ্ছে। আল্লাহ হাফেয💕

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)