লিখতে চলেছি আজ স্মৃতিশক্তি নিয়ে, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন স্মৃতিশক্তি নিয়ে লেখার আগে আমার স্মৃতিশক্তি না লোপ পেয়ে বসে!
স্মৃতিশক্তি
স্মৃতিশক্তি হচ্ছে জীবনের প্রেক্ষিতে চলমান ও অতীতের ঘটনাগুলো মনে রাখার এক দৈবক্ষমতা; যেটা আমাদের ইশ্বর দিয়েছেন যেন এক উপহারস্বরূপ, যদিও অনেকের কাছে তা নিছক উপহাসস্বরূপ। মানে? মানেটা এখন থাক না! সায়েন্টিফিক বলে চালিয়ে দিব ব্লগ। আবেগ নিয়ে লেখালেখি করার লোক আমি নই!🙂
এই পৃথিবীতে যার স্মৃতিশক্তি বেশি সে তত বেশি উন্মাদ প্রকৃতির হয়। এটা আসলে একটা চিরন্তন সত্য।
মদ্দকথায় আসি!
প্রতিনিয়তই আমাদের সাথে এই ব্যাপারটি ঘটে থাকে, আমরা অনেকেই খুব রিসেন্টলি ঘটে যাওয়া একটি টপিক অনেক দ্রুত খেয়ে ফেলি। অনেকে আছে এমন যে কোনও জিনিষ একবার মাথায় নিলে বা কোনও একটি টপিক একবার স্টাডি করলে সেটা তারা আর ভুলে না। অনেকক্ষেত্রে আবার দেখা যায়, একই জিনিষ বারংবার চর্চা করা সত্ত্বেও আমরা তা ভুলে যাই।
এই খুব সহজে মনে রাখা বা অতি দ্রুত ভুলে যাওয়া কি আমাদের স্মৃতিশক্তির তারতম্যের কারণে ঘটে নাকি পারিপার্শ্বিক ঘটনার অনুপ্রেক্ষিতে এই পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। এই জটিল আলোচনায় এখন না যাই! আমি আপনাকে নিয়ে যেতে চাই এর চেয়েও অধিক জটিলকয়েক বিষয় অনুধাবন করানোর জন্য।
আপনি প্রস্তুত তো? আপনার ঢালিতে আরও কিছু অপ্রয়োজনীয় জ্ঞানের সন্নিবেশ ঘটানোর জন্য, আমি কিন্তু রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছি আজ।😎
স্মৃতিবিভ্রান্তি
স্নৃতিশক্তির সাথে আরেকটা জিনিষ ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে আছে, সেটা হচ্ছে স্মৃতিবিভ্রান্তি। একটি ঘটনার সাথে অন্য এক বা একাধিক ঘটনা তালগোল পাকিয়ে ফেলাকেই বলা হয় স্মৃতিবিভ্রান্তি। আমাদের মস্তিষ্কে যে নিউরন সেলগুলো থাকে তারাই কি একের সাথে অন্যে জট পাকিয়ে স্মৃতিবিভ্রান্তির সৃষ্টি করে তার উত্তর আমার মস্তিষ্কে এই মুহূর্তে অনুপস্থিত।
তবে এর একটা সুন্দর ব্যাখ্যা আমি দাড় করাতে পারি, তা হলো!
আমাদের ব্রেইন কখনো এতটা Sharp বা নিঁখুত হতে পারেনা যে, আমরা অতীতের ঘটনাগুলো সেখানে খুব সুন্দর করে ঠিক এই ব্লগের ডাটাবেজের যেমনি আমার কন্টেন্টগুলো সংরক্ষিত আছে তেমনি অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করে রাখতে পারব। বরংচ আমাদের মস্তিষ্ক নতুন নতুন ঘটনাগুলো জমা করতে গিয়ে স্মৃতিতে রক্ষিত পুরনো ঘটনাগুলো আরও ঘোলাটে বানিয়ে দেয়। মানুষ নতুন গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড পেয়ে প্রাক্তন কে ভুলে যায় কি একই কারণেই?
মনে রাখার নিঞ্জা টেকনিক
আপনি যদি আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ভুলতে না চান তবে আমি পরামর্শ দিব, বেশি বেশি Violence সোজা বাংলায় যাকে আকাম কুকাম বলি; করতে থাকেন। কারণ, আমাদের মস্তিষ্কে অন্যান্য ঘটিনার প্রেক্ষিতে Violence এর ঘটনাগুলোর স্থায়িত্ব একটু বেশি থাকে। এরূপ ঘটনার মধ্যে, খুব কম ঘটনাই আমরা দ্রুত ভুলতে পারি। কারণ violence ঘটানোর পর আমাদের মাঝে এক অনুশোচনার সৃষ্টি হয়, ব্যাপারটি নিয়ে আক্ষেপ হতে থাকে বারংবার, অনবরত।
বিষয়গুলো আমাদের মস্তিষ্ককে ক্রমান্বয়ে ভাবিয়েই যায় এবং এই ইন্সিডেন্টগুলো ভুলে যাওয়া কিন্তু একরকম অসম্ভবই হয়ে যায় তখন।তবু কিছু মানুষ কিন্তু থাকবে এর থেকে ব্যতিক্রম। এদের মাঝে খারাপ কাজ সম্পাদনের পরও অনুশোচনার সৃষ্টি হয়না, সবার আগে তাদেরকে জানাতে চাই আমার স্যালুট। আপনি দয়া করে আমার এই ব্লগটির লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন। আমি তার সাথে আপনার চিন্তাভাবনার সমুদ্রের গভীরে ডুব দিতে গিয়ে তার চেয়েও গভীর এক মিতালি আঁচ করতে পারছি।
মস্তিষ্কেরই বা কি দোষ! সে কত লোড নিবে?
আমার এই গাঁজাখুরি ব্লগটির একটাই উদ্দেশ্যে, আপনার প্রতি আমার আকুল আবেদন (যে আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করলে নিশ্চিন্তে আমার ফাঁসির আদেশ হবে) থাকবে,
মস্তিষ্ককে চাপ কম দেন, ইহার ডাটাবেজে ঘটনা কম জমান। সারাদিন অলস সময় পার করেন, শুয়ে বশে সময় কাটান, ব্রেইনকে বিশ্রাম দেন, বেশি চাপ একদমই লইয়েন না।😕
সবকিছু উর্বশীর মতো ''take it easy" করে নিন, চিন্তা ভাবনা করা কমায়ে দেন। Overthinking তো একদমই Not Allow করে দিন। মস্তিষ্ককে নিত্য নতুন ঘটনার বিবৃতি লেখা থেকে আপাদত রেহাই দিন। এজন্য অবশ্য কিছু না করার মাঝে থাকার চেষ্টা করতে হবে। কিছু না করে মানুষের Attention পাওয়া না গেলেও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমে যাবে! ডাক্তার না হয়েও, এই গেরান্টি আমি আপনাকে দিতেই পারি।
আর পরিশেষে একটা কথাই বলব,
আমার এই ফ্রি জ্ঞানগুলো মস্তিষ্ক থেকে ঝেরে মুঁছে নিন, চটজলদি।
আমার মতো গাঁজাখুরি ব্লগার থেকে জ্ঞান না নিয়ে জ্ঞানীদের থেকে জ্ঞান নিয়ে আপনা স্মৃতিশক্তিতে সমৃদ্ধ্য করুন। আর সবশেষ, আমার এই ব্লগের পথচলায় আপনার মতো ধৈর্যশীল পাঠকদের উৎসাহ অতি প্রয়োজনীয়৷
আপনাদের উৎসাহ থেকে আমি পাই লেখনিশক্তি। স্বরণশক্তি কমে গেলে, উল্টাপাল্টা লিখতে থাকি। 😶
আপনাদের উৎসাহ থেকে আমি পাই লেখনিশক্তি। স্বরণশক্তি কমে গেলে, উল্টাপাল্টা লিখতে থাকি। 😶